আপন জুয়েলার্স থেকে আটক করা সাড়ে ১৩ মণ সোনার কোনও বৈধ কাগজপত্র এর মালিক দেখাতে না পারায় তা অনুষ্ঠানিকভাবে জব্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। আগামীকাল রবিবার (৪ জুন) সকাল ৯ টায় সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে এই সোনা জব্দ করা হবে। তবে কোনও গ্রাহক যদি সোনা বা সোনার অলঙ্কার জমা রাখার কাগজপত্র দেখাতে পারেন, তাদের গচ্ছিত সম্পদও আগামীকালও ফেরত দেওয়া হবে।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা র্যাব ও পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি। কাল (রবিবার) একদিনেই সব কাজ সেরে ফেলবো।’
তিনি আরও জানান, এসব সোনা-হীরা ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। এরপর আইনি প্রক্রিয়ায় জব্দকৃত সোনা ও হীরা শুল্ক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে। শুল্ক গোয়েন্দার ৫টি দল আগামীকাল সকাল থেকে এই জব্দ ও স্থানান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের ৫টি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে আটক করে। এসব সোনা ও হীরার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেওয়া হয়। এরপর আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে ৩ বার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা এসব সোনা-হীরার কোনও প্রকার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের দেওয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে।